বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪, ০১:১১ অপরাহ্ন

রিকশা মেকানিক থেকে শত কোটি টাকার মালিক

রিকশা মেকানিক থেকে শত কোটি টাকার মালিক

স্বদেশ ডেস্ক:

প্রথম জীবনে বেকারত্ব ঘোচাতে রিকশার মেকানিক হিসেবে কাজ শুরু করেন আবদুল গফুর। কিন্তু সেই কাজ বাদ দিয়ে জড়িয়ে পড়েন ইয়াবা কারবারে। এখন তার নেতৃত্বেই মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান দেশে ঢোকে। শুধু গফুর নয়, তার পরিবারের সবাই এখন এ পেশায় জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এই কারবারের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকাও কামিয়েছেন তারা।

গফুরের বাড়ি কক্সবাজারের টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়ার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে। গোয়েন্দারা মাদককারবারিদের যে তালিকা করেছেন, তাতে গফুরের নাম একেবারে ওপরের দিকে। তালিকায় নাম আছে একই পরিবারের আরও তিনজনের। তারা হলেন- মো. শফিক, মনির আলম বাদশা ও মো. রফিক।

ইয়াবা কারবার জমজমাট করতে ছেলে মনির আলম বাদশাকে পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হিসেবে মাঠে নামিয়েছিলেন গফুর। কিন্তু রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে ২৬ হাজার ইয়াবা বড়িসহ গ্রেপ্তার হন মনির ও তার আরেক ভাই। দুজনই কারাগারে আছেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দুই ভাই বলেছেন, ইয়াবা কারবার তাদের অনেকটা পারিবারিক ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দুই ভাইয়ের নামে কমলাপুর রেলওয়ে থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আকবর বলেন, ‘তাদের আরেক ভাই শফিকও ইয়াবা কারবারিতে জড়িত। মাদক কারবারে পরিবারের আর কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

টেকনাফ থানাপুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, গফুরের পরিবারের লোকজন মিয়ানমার থেকে নৌপথে ইয়াবা এনে টেকনাফে মজুদ করে। এই সিন্ডিকেটে মিয়ানমারের নাগরিক আলম ওরফে বর্মাইয়া আলমও জড়িত। তিনি মিয়ানমারের মংদুতে থাকেন। টেকনাফেও তার একটি বাড়ি আছে। বর্মাইয়া আলম নৌপথে ইয়াবা পাচার করে টেকনাফের নাজিরপাড়া, জালিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে মজুদ রাখেন। মজুদ ইয়াবাগুলো গফুর ও তার পরিবারের লোকজন ঢাকায় পাচার করেন।

পুলিশ বলছে, ২০১৮ সালে ২৬ মে চকরিয়া ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের হাসেরগিরি এলাকায় ১২০০ ইয়াবাসহ মনিরকে আটক করেছিল পুলিশ।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘টেকনাফের মনির আলম বাদশা নামে একজন সম্ভাব্য পৌর কাউন্সিলর প্রার্থী ঢাকায় ইয়াবাসহ আটক হয়েছে। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে।’

স্থানীয়রা জানান, পরিবারকে সুরক্ষা দিতে মনির আলমকে কাউন্সিলর প্রার্থী ঘোষণা করেন আবদুল গফুর। কিন্তু দুই ছেলে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হওয়ায় এখন গফুর নিজেই কাউন্সিলর প্রার্থী হতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। দুই ছেলের গ্রেপ্তার ও পারিবারিক ইয়াবা ব্যবসা সম্পর্কে জানতে আবদুল গফুরের মোবাইল ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি প্রতিবারই ফোন কেটে দেন।

ঢাকা রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম থেকে আসা সুবর্ণ এক্সপ্রেসে করে দুই ভাই ঢাকার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে নামেন। পরে তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছে ইয়াবা পাওয়া যায়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877